হাসিমাখা চিঠি
অতনু দাশ গুপ্ত
প্রিয় শুচিস্মিতা,
গ্রীষ্মের কোন এক অবউষ্ণ প্রভাতে প্রথম যেদিন তোমার দর্শন পাই সেইদিন থেকে অনিমেষনেত্রে তাকিয়ে থেকেছি;
আড়ালে, সঙ্গোপনে।
তোমার অকস্মাৎ অনুপস্থিতি আমাকে বিহবল, কিঞ্চিৎ নিরাশ করতো!
তদ্রুপ সপ্তাহান্তাতে তোমার উপস্থিতি আমার কাব্যিক মনে নতুন ছন্দ সৃষ্টিতে বিপুল অনুপ্রেরণার কারণ
হত নিঃসন্দেহে।তোমার শান্ত, নিশ্চিন্ত মনের হাসি বহুবার দেখেছি!
কেমন যেন অদ্ভুত অনুভূতির সঞ্চার হত তখন।
বোধ করি বিধাতা তোমার মত কিছু মানবীকে এমন হাসি দিয়ে এজন্যই সৃষ্টি করেছেন যাতে আমরা
পৃথিবীর চারপাশের এত কুৎসিত, বিকৃত চেহারাটা ক্ষণিকের জন্য ভুলে থাকি!
প্রিয় হাস্যময়ী সুস্মিতা,
প্রেমের সংজ্ঞা আর ভালোবাসার ভাবার্থ কেমন যেন বিহবল করে আমাকে।
কেমন যেন সবকিছু এলোমেলো ঠেকে!
ভালবাসার ভাব সম্প্রসারণ করা আমার কম্ম নয়!
বোকাসোকা, হিমুর মত ছেলেরা কেমন যেন সকল রমণীর মনে মনে স্বপ্নের উত্তম কুমার!
আর বাস্তবে ?
হয়তো মুকেশ আম্বানির পুত্রসরূপ কোন যুবক!
তোমার হাসি আমাকে সে কথা বলে না , বিভ্রান্তি দূর করে কেমন যেন একটা সুনিবিড় রাঙামাটির পথ ভোলানো
নিকুঞ্জ বনে নিয়ে যায়।
আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তোমার হাসিতে ভুবন ভুলি!
তোমার হাতে দিলাম হলুদ খামে লিখা চিঠি, নীল খামে লিখি নাই!
নীলকে বলে বেদনার রঙ,
কিন্তু কৃষ্ণও তো নীল।
অন্তত আমার চোখে!
আরও দিলাম চিঠির বাক্স খোলার একটা জাদুর চাবি!
চিঠির বাক্স খোলা, বন্ধ করার কাজটা না হয় তুমিই করো।
তুমিই হও আমার প্রেমের ডাকহরকরা!!
হেসেছো, হেসে যাও।
আর একটা হাসিমাখা চিঠি লিখো আমার তরে!!